menu

Saturday, May 14, 2016

দেশ জন্ম যাদের দ্বারা তারা এভাবেই হারিয়ে যাবে ?


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে
বাংলাদেশের একটি ফুটবল দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত অর্জন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের
সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের
উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। যে
দলটি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নামে পরিচিত ছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ফুটবল দল এটি। ঐ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই এক একজন মুক্তিযুদ্ধ কেননা একাত্তরে যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধাদের গান গেয়ে উৎসাহিত করা গায়কও একজন মুক্তিযুদ্ধা। সে হিসেবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের প্রতিটা খেলোয়াড়ই আমাদের দেশের বীর। আমার মতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের দ্বাদশ খেলোয়াড়ের সম্মান বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট কিংবা ফুটবল টিমের খেলোয়াড়দের থেকে হাজারো গুণ বেশী। কেননা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরির লক্ষ্যেই মুক্তিযুদ্ধে আর্থিক ভাবে সহায়তা করার জন্যই ফুটবল খেলেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ফলেই এদেশের ক্রিকেট কিংবা ফুটবল বাংলাদেশ নামে একটা দল হিসেবে পরিচিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিম ভারতের বিভিন্ন স্থানে ফুটবল খেলে ৩.৫ লাখ রুপি (৫ লাখ টাকা) অর্থ জোগাড়ে সমর্থ হয় আর এর পুরো অর্থ মুক্তিযুদ্ধা ফান্ডে জমা দেওয়া হয়(ওই অর্থ গুলো তখনকার সময় ছিলো সোনার হরিণ)। অথচ সেই স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের একজন খেলোয়াড় আইনুল হক যে কিনা মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ জোগাড়ের জন্য খেলেছেন সেই আইনুল হক আজ দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় জীবনের শেষ সময়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। সরকার কিংবা বাফুফে থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের এই ফুটবল যুদ্ধা কোন বড় ধরনের সাহায্য পাননি যা দিয়ে তার চিকিৎস সম্পূর্ণ হবে। ভাবতে কষ্ট হয় দেশ জন্ম যাদের হাতে সেই যুদ্ধারই অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় এভাবে কষ্ট পেয়ে হারিয়ে যাবে অথচ ভুয়া মুক্তিযোদ্বার সনদ দেখিয়ে বছরে লক্ষ লক্ষ সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। তাই আমাদের উচিত অইনুল হক নামে এই ফুটবল যুদ্ধা যেন বিনা চিকিৎসায় হারিয়ে না যায় আমাদের মিডিয়া কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা আইনুল হককে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেওয়া এবং সরকারের সরনাপন্ন হয়ে কিংবা ব্যাক্তিগত ভাবে এই যুদ্ধার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।

Sunday, April 17, 2016

নতুন স্লোয়ার ডেলিভারি জব্দ করছেন রুবেল


বাংলাদেশ ক্রিকেট যতদিন থাকবে , রুবেলকে স্মরণ করতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে রুবেলের কিছু অসাধারণ ডেলিভারি। বিশেষ করে রুবেলের তিনটি বোলের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা কখনোই ভুলতে পারবে না । ২০১০ সালে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ৪র্থ ওয়ান্ডেতে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের টার্গেট দেয়। সেই ম্যাচে রুবেলের বোলিং এর কাছে হার মানতে বাধ্য হয় নিউজিল্যান্ড। ২.২৫ ইকোনোমি তে ৯.৩ ওভার বোল করে মাত্র ২৫ রান ৪টি উইকেট নেন। লাস্ট ওভারে চোখ ধাঁধানো ইয়োর্কারে মিলসের উইকেট উপরে ফেলার দৃশ্য আজও চোখের সামনে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের।

গেলো ওয়ান্ডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডে সবচেয়ে সমালোচিত ক্রিকেটার ছিলেন রুবেল। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটার হয়ে দেশে ফিরেন তিনি । সবার নজর কেড়েছেন অসাধারণ পারফর্ম করে। এভারিজ ১৪২ সর্বচ্ছো ১৪৭ গতিতে বোলিং করেছেন তিনি এবং সবচেয়ে কম ইকোনোমিতে বোল করেছেন বাংলাদেশের হয়ে। আগুন ঝড়ানো বোলিং করেছেন ইংল্যান্ডের সাথে। বিশেষ করে লাস্ট দুই বোলে দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করেন নেন তিনি।
ইঞ্জুরিতে পড়ে দলের বাহিরে আছেন বেশ কিছুদিন। লাস্ট ওয়ান্ডে খেলেছেন প্রায় নয় মাস আগে। টি-টুয়েটি খেলছেন প্রায় ১১ মাস আগে। ভক্তদের মনে প্রশ্ন রুবেল কি হারিয়ে গেছেন?

নিজেকে ফিরে পেতে লড়াই করছেন তিনি। নেটে কঠর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই বোলার। সেরা পাঁচজন বোলার মধ্যে থাকতে চান প্রিমিয়ার লীগে। সেই সাথে নতুন একটি স্লোয়ার ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সিনিয়র সব প্লেয়ারা বলেছেন এই বোলটি অনেক ভালো হচ্ছে রুবেলের।

এই স্লোয়ার বোলের নাম জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন এর নাম "বাটার ফ্লাই" । বোলারা সাধারণত দুই ধরনের বোল করে থাকেন স্লোয়ার ডেলিভারি এবং স্টক বোল। স্টক বোল করার সময় বোলারা স্বাভাবিকভাবেই করে থাকেন। কিন্তু স্লোয়ার বোল করা সময় প্রায় সব বোলারাই কব্জিতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন। কিন্তু এই "বাটার ফ্লাই" স্লোয়ার করতে রুবেল কব্জিতে কোনো রকম পরিবর্তন হয় না । এটাই ব্যাটসম্যানের বিপদে ফেলতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
লিখাঃ মাহবুবুল হাসান রাসেল