বাংলাদেশ ক্রিকেট যতদিন থাকবে , রুবেলকে স্মরণ করতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে রুবেলের কিছু অসাধারণ ডেলিভারি। বিশেষ করে রুবেলের তিনটি বোলের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা কখনোই ভুলতে পারবে না । ২০১০ সালে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ৪র্থ ওয়ান্ডেতে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের টার্গেট দেয়। সেই ম্যাচে রুবেলের বোলিং এর কাছে হার মানতে বাধ্য হয় নিউজিল্যান্ড। ২.২৫ ইকোনোমি তে ৯.৩ ওভার বোল করে মাত্র ২৫ রান ৪টি উইকেট নেন। লাস্ট ওভারে চোখ ধাঁধানো ইয়োর্কারে মিলসের উইকেট উপরে ফেলার দৃশ্য আজও চোখের সামনে ভাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের।
গেলো ওয়ান্ডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডে সবচেয়ে সমালোচিত ক্রিকেটার ছিলেন রুবেল। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটার হয়ে দেশে ফিরেন তিনি । সবার নজর কেড়েছেন অসাধারণ পারফর্ম করে। এভারিজ ১৪২ সর্বচ্ছো ১৪৭ গতিতে বোলিং করেছেন তিনি এবং সবচেয়ে কম ইকোনোমিতে বোল করেছেন বাংলাদেশের হয়ে। আগুন ঝড়ানো বোলিং করেছেন ইংল্যান্ডের সাথে। বিশেষ করে লাস্ট দুই বোলে দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করেন নেন তিনি।
ইঞ্জুরিতে পড়ে দলের বাহিরে আছেন বেশ কিছুদিন। লাস্ট ওয়ান্ডে খেলেছেন প্রায় নয় মাস আগে। টি-টুয়েটি খেলছেন প্রায় ১১ মাস আগে। ভক্তদের মনে প্রশ্ন রুবেল কি হারিয়ে গেছেন?
নিজেকে ফিরে পেতে লড়াই করছেন তিনি। নেটে কঠর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই বোলার। সেরা পাঁচজন বোলার মধ্যে থাকতে চান প্রিমিয়ার লীগে। সেই সাথে নতুন একটি স্লোয়ার ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সিনিয়র সব প্লেয়ারা বলেছেন এই বোলটি অনেক ভালো হচ্ছে রুবেলের।
এই স্লোয়ার বোলের নাম জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে তিনি বলেন এর নাম "বাটার ফ্লাই" । বোলারা সাধারণত দুই ধরনের বোল করে থাকেন স্লোয়ার ডেলিভারি এবং স্টক বোল। স্টক বোল করার সময় বোলারা স্বাভাবিকভাবেই করে থাকেন। কিন্তু স্লোয়ার বোল করা সময় প্রায় সব বোলারাই কব্জিতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসেন। কিন্তু এই "বাটার ফ্লাই" স্লোয়ার করতে রুবেল কব্জিতে কোনো রকম পরিবর্তন হয় না । এটাই ব্যাটসম্যানের বিপদে ফেলতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
লিখাঃ মাহবুবুল হাসান রাসেল